Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে গণগ্রেফতারের অভিযোগ

৩ দিনে ১২০ জন গ্রেফতার

0

প্রতিবেদক :
আগামী ২৭ মে যশোরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমাবেশ বানচাল করতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে গণগ্রেফতার চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। আজ শনিবার (২০ মে) দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোর মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, সরকারের দমননীতির অংশ হিসেবে গত ১৭ মে রাত থেকে এ পর্যন্ত যশোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১২০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হয়েছে। আটকের পর এসব নেতাকর্মীদের পুলিশ পেন্ডিং মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করছে। তবে পুলিশ বলছে, কোনো গণগ্রেফতার না। যাদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলা রয়েছে তাদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, নির্যাতনসহ সরকার পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে যশোর জেলা বিএনপি। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, আগামি ২৭ মে অনুষ্ঠিতব্য এই সমাবেশের জন্য যশোর টাউন হল ময়দান বা কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে প্রশাসনের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন দেওয়া হয়েছে। তবে সমাবেশের ৬ দিন সময় থাকলেও প্রশাসন এখনও অনুমতি দেয়নি। এই সমাবেশ সফল করতে জেলা বিএনপি বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলাতে প্রস্তুতি সভা করছে। কিন্তু বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ বানচাল করতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা চলছে। গত ১৭ মে রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত যশোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১২০ জন আটক করা হয়েছে অভিযোগ নেতাকর্মীদের। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মিঠু, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাছুম, যশোর জেলা আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি আ্যডভোকেট আব্দুল রাজ্জাক, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম রয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী। গ্রেফতাকরকৃত নেতাকর্মীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরকারের এই অপকৌশল ব্যর্থ হবে। সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে হাজার হাজার নেতাকর্মী সকল কর্মসূচি সফল করবে। এসময় পুলিশ-প্রশাসনের প্রতি এই গণগ্রেফতার বন্ধ এবং সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চেীধুরী মুল্লুক চাঁদ প্রমুখ।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, কাউকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ভাংচুর ও অন্যান্য মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। হঠাৎ করে সমাবেশের আগে অভিযানের চালানো হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা কোনো সমাবেশকে টার্গেট করে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.