Take a fresh look at your lifestyle.

বেনাপোলের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানির নির্দেশনার অপেক্ষায়

0

প্রতিবেদক :
দেশে কয়েকদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ খবরে নড়েচড়ে বসেছেন বেনাপোলের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা পেলেই পেঁয়াজ আমদানি শুরু করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাষিদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন চাষিসহ ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লোভে নানা অজুহাতে পেঁয়াজের দামবৃদ্ধি করতে থাকেন। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েন নিম্ন আয়ের লোকজন। এ অবস্থায় বাজার সহনীয় রাখতে পেঁয়াজ আমদানির কথা ভাবছে সরকার।

এদিকে, আমদানি বন্ধ হওয়ার আগে চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৯ হাজার ৮৮৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন ও দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকায় গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানির পরিমাণ অনেকাংশে কমেছিল।

 তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।

সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দর থেকে দ্রুত

পেঁয়াজ খালাস করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে।

-আব্দুল জলিল, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, বেনাপোল বন্দর

বেনাপোল বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শামিম হোসেন বলেন, আমাদের অনেক এলসির পেঁয়াজ ভারত সীমান্তের গোডাউনে আছে। সরকার অনুমতি দেওয়ার পর আমরা আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করবো। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম অর্ধেকে নেমে আসবে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স গাজী ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি আবু জাফর বলেন, খবর পেয়েছি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। নির্দেশনা আসলেই আমরা আমদানির জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

বেনাপোলের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মুজিবর রহমান বলেন, আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে একদিনেই দাম কমেছে কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা। আমদানি শুরু হলে আরও দাম কমে আসবে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, গত ১৫ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পারমিট বন্ধ করে দেয় সরকার। এ কারণে এতদিন পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। সামনে কোরবানি ঈদ। ওইসময় পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ে। সরকার আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেকটাই কমে আসবে।

বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা আসলে আমরা এখান থেকে আইপি ও উদ্ভিদ সার্টিফিকেট ইস্যু করবো। আমদানিকারকদের তখন পেঁয়াজ আমদানি করতে কোনো বাধা থাকবে না।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দর থেকে দ্রুত পেঁয়াজ খালাস করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.