যশোরে দোয়া মাহফিলে দাওয়াত না পেয়ে মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ
প্রতিবেদক :
দোয়া মাহফিলে দাওয়াত না পেয়ে অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদের বিরুদ্ধে। আজ রোববার (২৮ মে) বিকালে ইউনিয়নের রুপদিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলে রুপদিয়া বাজারে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ ও কোতয়ালী থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা মিথ্যা দাবি করেছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ। আর পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আয়োজকরা জানান, যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর রোগমুক্তি কামনা ও সুস্থতায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগ। বাদ আসর রুপদিয়া বাজারের পানপট্টি এলাকায় ইউনিয়ন যুবলীগের আহŸায়ক আল মাহমুদের সভাপতিত্বে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ পাশের ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
অনুষ্ঠান শুরুর মূর্হতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ উপস্থিত হয়ে আয়োজকদের বলেন ‘তোরা আমাকে দাওয়াত না দিয়ে এখানে অনুষ্ঠান করছিস। এখানে কোনো অনুষ্ঠান হবে না। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। ভাংচুর ও উত্তেজনার মধ্যেই আয়োজকরা দোয়া মাহফিল শেষ করেন।
ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আল মাহমুদ বলেন, অনুষ্ঠানে রাজু চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান তিনি।
তবে হামলার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ বলেন, ওখানে যেয়ে আমি প্রশ্ন করি আমাকে কেন দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এরপর অনুষ্ঠানের এক নেতা আমার সঙ্গে খারাপ আচারণ করে। পরে আমার কর্মীরা অনুষ্ঠানে রুখে যায়; তবে কেউ হামলা করেনি। হামলার বিষয়টি মিথ্যা।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।