Take a fresh look at your lifestyle.

পাটের বীজ বপন বদলে দিয়ে আনা হচ্ছে রোপন পদ্ধতি

পুরো জীবনকাল পাবে পাট, বাড়বে উৎপাদন

0

প্রতিবেদক :
পাটের বীজ বপনকে বদলে দিয়ে আনা হচ্ছে রোপন পদ্ধতি। ধান চাষের মতোই চারা তৈরি করে পাট চাষ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মণিরামপুর উপকেন্দ্র এই পদ্ধতি মাঠে নিয়ে এসেছে। এতে পাটের ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পতিত জমি ব্যবহার করে পাটচাষের বিস্তৃতি বাড়বে বলে আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট’র (বিজেআরআই) মণিরামপুর উপকেন্দ্র চারা রোপন পদ্ধতিতে পাট আঁশ উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এজন্য তারা যশোর সদর, মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলায় ৭ একর জমিতে চারা রোপন পদ্ধতিতে পাট আঁশ উৎপাদন প্রযুক্তির প্রদর্শনী স্থাপন করেছে। এই জমির কৃষকদের বিনামূল্যে পাটের চারা সরবরাহ করা হয়েছে।

পাট গবেষণা উপকেন্দ্র মণিরামপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, সাধারণ পাটের জীবনকাল ১২০ দিন। কিন্তু বোরো ধান কেটে ওই জমিতে পাট চাষ করতে গেলে পুরো জীবনকালের আগেই অনেক চাষি পাট কাটতে বাধ্য হন। কারণ সেখানে অন্য ফসল চাষের মৌসুম শুরু হয়ে যায়। আর আগাম কেটে ফেলার কারণে পাটের উৎপাদনও কমে যায়। রোপন পদ্ধতিতে পাট চাষ করলে সুবিধা হলো আগেই অল্প জমিতে পাটের বীজ ছড়িয়ে দিয়ে চারা তৈরি করে নেয়া যায়। এরপর ৩৫ দিন পর তুলে তা জমিতে ধান রোপনের মতো রোপন করা হয়। ফলে পাটগাছ পুরো জীবনকাল পায়। এতে সুবিধা পাটের উৎপাদন বেশি হয়।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, যশোর জেলায় এখন পর্যন্ত এই মৌসুমে ২৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এছাড়া বোরো-পতিত-আমন শস্যক্রমের জমি রয়েছে ৫৪ হাজার হেক্টর। এই ৫৪ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) কর্তৃক উদ্ভাবিত চারা রোপন পদ্ধতিতে পাট চাষাবাদ করা সম্ভব। এর ফলে বোরো ও আমন ধানের অনেক পতিত জমি পাট চাষের আওতাভুক্ত করা সম্ভব। এভাবেই চারা রোপন পদ্ধতিতে পাট আঁশ উৎপাদন প্রযুক্তি পাট আঁশের ফলন ও পতিত জমির ব্যবহার বৃদ্ধির আশা দেখাচ্ছে।

চারা রোপণ পদ্ধতিতে পাটের আবাদ করেছেন কেশবপুর উপজেলার আলতাপোলের কৃষক মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা সচারচর বোরো ধান কাটার পর সরাসরি বীজ বপন করে পাট চাষ করে থাকি। এতে করে পাটের পুরোপুরি জীবনকাল সম্পন্ন করে পাট কাটতে পারি না। ফলে পাট আঁশ উৎপাদন খুব লাভজনক হয় না। কিন্তু চারা রোপন পদ্ধতিতে পাট আঁশ উৎপাদন করলে পুরোপুরি জীবনকাল সম্পন্ন করে পাট কাটতে পারবো এবং পরবর্তী ফসলও যথাসময়ে বপন করতে পারবো। এতে করে আমার ফলন এবং আয় উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.