Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে কারারক্ষীর স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

নেপথ্যে পারিবারিক অশান্তি!

0

প্রতিবেদক :

যশোরে কারারক্ষীর স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই মৃত্যুর জন্য পারিবারিক অশান্তির আভাস পাওয়া গেছে। যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার ভাড়া বাসা থেকে কারারক্ষী হাফিজুর রহমানের স্ত্রী ফারজানা কবিরের (২৬) মরদেহ উদ্ধার হয়। কোতোয়ালি থানা পুলিশ রোববার (২৮ মে) দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকান্ড সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ওসির দাবি এটি রহস্যজনক মৃত্যু। আর স্বামী বলছেন বাসায় ফিরে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান তিনি। আজ সোমবার (২৯ মে) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

যশোর কেতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায় বলে ঘটনাস্থলে যাওয়া অফিসার জানিয়েছেন। তবে এটা রহস্যজনক মৃত্যু। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পরিষ্কার করা যাচ্ছে না হত্যা না আত্মহত্যা। তবে তথ্য পাওয়া গেছে মৃত ফারজানার সাথে কারারক্ষী হাফিজুরের পারিবারিক অশান্তি ছিল। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, বাগেরহাটের পঞ্চমালা গ্রামের খান সুলাইমান মাস্টারের ছেলে হাফিজুর রহমান যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষীর চাকরি করেন। ঘোপের মিজানুর রহমানের বাড়িতে সস্ত্রীক ভাড়া থাকেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। রোববার দুপুরে স্বামী হাফিজুর রহমান স্থানীয় কয়েকজনকে জানান ফাঁস দেয়া অবস্থায় স্ত্রী ফারজানা কবিরের মরদেহ ঝুলছে। ফারজানা কবীর বাগেরহাট জেলা শহরের ধূলিঘাটি এলাকার শাহীন হোসেনের মেয়ে। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানার ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন ও এএসআই শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনালে হাসপাতাল মর্গে পাঠান। এএসআই শরিফুল ইসলাম জানান, হাফিজুর রহমানের ভাড়া বাসায় পৌঁছে দেখেন মরদেহটি হাফিজুর রহমান নিজে আগেই নামিয়ে রেখেছেন।

ফারজানার স্বামী যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের রক্ষী হাফিজুর রহমান জানান, তিনি কারাগারে ডিউটিতে ছিলেন। খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে দেখেন স্ত্রীর মরদেহ ঝুলছে। এসময় ঘরের সবগুলো দরজা খোলা ছিল। আসলে কি ঘটেছে তিনি পরিষ্কার করতে পারেননি। তিনি যখন অফিসে ছিলেন সে সময় মেয়ে স্কুলে ছিল। স্কুল থেকে ফিরে মায়ের মরদেহ দেখতে পায় সে।

মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী জানায়, আগের রাতে সে বাবা-মায়ের সাথেই ঘুমিয়ে ছিল। ওইদিন বাবা-মায়ের মধ্যে কোনো ঝগড়া বা বিবাদ হয়নি। প্রতিদিনের মতোই সে রোববার সকালে স্কুলে চলে যায়। দপুরে ফিরে মায়ের মরদেহ দেখতে পায়।

ফারজানা কবিরের মৃত্যুর বিষয়ে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস্ জানিয়েছেন, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাবে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.