এক বালিশের দাম ৫৩ লাখ টাকা!
সংবাদকক্ষ :
ঘুমাতে যে বালিশ ব্যবহার করেন, তার দাম সর্বোচ্চ কতো হতে পারে? তবে এই বালিশের যে দাম, তা আপনার কল্পনাকেও হার মানাবে। একটি বালিশের দাম ৫৭ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ৫২ লাখ ৮১ হাজার ৬৬০ টাকা। অবাক হলেও সত্যি, এমনই একটি বালিশ বিক্রি হচ্ছে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি বালিশ বলা হচ্ছে এটিকে।
নেদারল্যান্ডসের থিজস ভন ডার হিল্টস বিশেষ এই বালিশ উদ্ভাবন করেছেন। তিনি পেশায় একজন সার্ভিক্যাল (কাঁধ ও গলা সমস্যার) বিশেষজ্ঞ ও নকশাকার। বালিশটির নাম দিয়েছেন টেইলরমেড পিলো।
তার ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, এটা খুবই বিশেষ ও আধুনিক বালিশ। মিসরের তুলা, মালবেরি সিল্ক ও নেদারল্যান্ডসে তৈরি করা দূষণমুক্ত ফোম ব্যবহার করে বালিশটি বানানো হয়েছে।
শুধু কি তাই, বিশেষ এই বালিশের কভারে ব্যবহার করা হয়েছে ২৪ ক্যারেটের সোনা, চারটি হীরা ও ২২ দশমিক ৫ ক্যারেটের নীলকান্তমণি। এছাড়া বালিশটি বানাতে যে তুলা ব্যবহার করা হয়েছে, তা রোবটচালিত কারখানা থেকে আনা হয়েছে। বালিশটি যে প্যাকেটে ভরে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে, সেটিও করা হয়েছে বেশ আকর্ষণীয়।
ওয়েবসাইটে বালিশটির দাম ধরা হয়েছে ৫৭ হাজার মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ৯৩ টাকা ধরলে বাংলাদেশি মুদ্রায় একেকটি বালিশের দাম দাঁড়ায় ৫৩ লাখ টাকার বেশি।
বিশেষ এই বালিশ বানাতে ১৫ বছর সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন থিজস ভন ডার হিল্টস। কিন্তু এত দাম দিয়ে ক্রেতারা বালিশটি কেন কিনবেন, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। এ বিষয়ে হিল্টস বলেন, বিশেষ এই বালিশ আধুনিক প্রযুক্তি ও সাবেকি কারুকর্মের অপূর্ব মিশেলে বানানো।
এটা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। যারা দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ ঘুমের সুযোগ করে দেবে এই বালিশ।