শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা রনিলের
সংবাদকক্ষ :
শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সামাজিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে স্থানীয় সময় রোববার তিনি সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ ও সরকারি সেবা অব্যাহত রাখাসহ জননিরাপত্তার স্বার্থে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
নজিরবিহীন গণবিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যান সদ্য সাবেক শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টে গোতাবায়া রাজাপক্ষে। পরে সেখান থেকে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে চেপে সিঙ্গাপুরে যান। সিঙ্গাপুরে পৌঁছার পর গোতাবায়া রাজাপক্ষে ই-মেইলে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। গত শুক্রবার স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে গোতাবায়ার পদত্যাগ ঘোষণা করেন।
গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি দায়িত্ব করবেন। স্পিকার জানিয়েছেন, আগামী ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্ণকালীন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য নির্বাচনে লড়তে চান রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু তাঁকে মানতে চান না শ্রীলঙ্কার জনগণ। ইতিমধ্যে তাঁর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে তারা। শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীরা মনে করে, দেশটির বর্তমান দুরবস্থার জন্য রনিলেরও দায় রয়েছে। তিনি গোতাবায়া রাজাপক্ষের পছন্দের ব্যক্তি এবং তাঁর সহযোগী ছিলেন।
এদিকে গত শুক্রবার সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে শ্রীলঙ্কার জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার জাতিসংঘ মিশন। সংস্থাটির আবাসিক সমন্বয়কারী হানা সিঙ্গার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘চলমান সংকট উত্তরণে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সংলাপে বসতে হবে। সংলাপই এ অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের সর্বোত্তম উপায়।’