কেশবপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আট জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলা
প্রতিবেদক :
যশোরের কেশবপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আট জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, মারধর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে সোমবার আদালতে মামলা হয়েছে। কেশবপুর উপজেলার মির্জানগর গ্রামের মৃত মীর আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল করিম মীর মামলাটি করেছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরমান হোসেন অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন : মির্জানগর গ্রামের সাদেক আলী খানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম সুজন খান, নজরুল ইসলামের ছেলে আমিনুর রহমান, ইজ্জেত আলী খানের ছেলে লিটন হোসেন, কামাল হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন, মোশারফ খাঁ’র ছেলে বাধন খাঁ, হাফিজুর রহমানের ছেলে হাসান আলী, আজিজুর খাঁ’র ছেলে আরাফাত হোসেন ও শাহজাহান আলী খানের ছেলে সাদেক আলী খান। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আব্দুল করিম মীর উল্লেখ করেছেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন আসামি জাহাঙ্গীর আলম সুজন খান। আব্দুল করিম মীর নির্বাচনে তার পক্ষে না থাকায় এ নিয়ে সেই সময় থেকে সুজন খানের সাথে শত্রæতার সৃষ্টি হয়। উল্লিখিত আসামিরা এরপর থেকে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় গত ২৪ জুলাই রাত ৮টার দিকে আসামিরা আব্দুল করিম মীরের ওপর হামলা চালান। এ সময় আসামি সুজন খান তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অস্বীকার করলে সুজন খান লোহার রড দিয়ে তাকে মারধর করেন। তখন আসামি আমিনুর রহমান ও লিটন হোসেনও লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করেন। আব্দুল করিম মীরের পকেটে থাকা ৬২ হাজার ৫শ’ টাকা ছিনিয়ে নেন। চাঁদার বাকি টাকার জন্য এ সময় আসামিরা তাকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেন। নতুবা তাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে দিয়ে চলে যান।