মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের চাঞ্চল্যকর চা দোকানি লিয়াকত আলী হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে এক বছর করে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (২৮ আগস্ট) মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। মামলার বাকি চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন : মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের মৃত অলিয়ত খাঁর ছেলে কবিদুল ইসলাম ও মফিদুল ইসলাম এবং মৃত আবু লায়েস খাঁর ছেলে জামাত আলী ওরফে খোকা। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। এছাড়া এই মামলায় বাগোয়ান গ্রামের তহুরা খার ছেলে লিয়াকত আলী ওরফে দুদু খাঁ, আবুল খাঁর ছেলে ভরস উদ্দিন খাঁ ও আবু লায়েছ খাঁর ছেলে ছোট খোকা খাঁকে এক বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির বিচার চলাকালিন আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামি মফিদুল খাঁর ছেলে মশিউর রহমান, তাছির উদ্দীন, কাবিরুল খার ছেলে সাদিক ও অলিয়ত খাঁর ছেলে আবির হোসেনকে বেখসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি নিহত লিয়াকত আলীর ভাই রিপন হোসেন মামলার আসামি জামাত আলী ওরফে খোকার কাছ থেকে পাওনা ৪শ’ টাকা চাইতে গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিকেলে রিপন হোসেন তার বড়ভাই লিয়াকত আলীর চায়ের দোকানে বসে ছিল। এসময় জামাত আলীসহ আরও কয়েজন রিপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বড়ভাই লিয়াকত আলীর দোকানে যায়। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র রামদা, হাসুয়া রড নিয়ে হামলা করলে রিপন দোকানের ভেতরে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে লিয়াকত আলী হামলাকারীদের আটকাতে গেলে তারা প্রকাশ্যে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে চলে যায়।
এ হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে মুজিবনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান মামলার চার্জশিট দেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রোববার এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক ও আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী আইনজীবী ছিলেন।