যশোরে বিটি বেগুনের মাঠ দিবস
প্রতিবেদক :
বিটি বেগুন সম্পর্কিত এক মত বিনিময় সভা ও মাঠ দিবস আজ বুধবার (১ মার্চ) যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে (বারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. শেখ মো. বখতিয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিটি বেগুন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন হচ্ছে। বিটি বেগুনে ফল ও ডগা ছিদ্র পোকার আক্রমণ হয় না। দেশে ২০ ভাগ সবজি চাষের জমিতে বর্তমান বিটি বেগুন চাষ হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবজির মধ্যে বেগুন একট প্রিয় সবজি। বিটি বেগুনের পাতায় পোকা দমনের জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি’র কলেজ অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেসের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের রিসার্চ প্রফেসর এবং ফিড দ্য ফিউচার ইন্সেক্ট রেজিস্ট্যান্ট অ্যাগ্রো প্ল্যান্ট পার্টনারশিপ প্রকল্পের পরিচালক ম্যারিসেলিস অ্যাসেভেদো। তিনি বলেন, বিটি বেগুন কৃষকদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। কারণ কম কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় এবং এটি পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখছে । ফলন ভালো হওয়ায় অধিক আয়ের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই জীব প্রযুক্তি বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে ।
বেগুনের নতুন ও স্থানীয়ভাবে অভিযোজিত জাত উদ্ভাবনের জন্য ফিড দ্য ফিউচার প্রকল্পটি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং ফিলিপাইনের বিজ্ঞানীদের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে । বীজ পেয়ে চলতি মৌসুমে বিটি বেগুন চাষ শুরু করেন কৃষক হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, বিটি বেগুন চাষ করলে ক্ষেতে ক্ষতিকারক কীটনাশক স্প্রে করার প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে কমিয়ে এনেছে।
সদর উপজেলর কোদালিয়া গ্রামের সুজন বলেন, আমি ১৫ কাঠা জমিতে দেশি বেগুন চাষ করেছি। তাতে ব্যাপক পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। স্প্রে করেও ভালো ফল পাইনি। এখানে দেখলাম বেগুনে কোনো স্প্রে করা লাগবে না। এতে করে আমাদের উৎপাদন খরচ কমবে। ফলনও বেশি হবে। আমরা লাভবান হবো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাউসার উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড. নাসির উদ্দিন মাহমুদ।