প্রতিবেদক :
যশোর সদর উপজেলার শাহাবাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের রিটকারীর পক্ষে আইনি পদক্ষেপ নিতে তার আইনজীবী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
সূত্র জানায়, শাহাবাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য শাহাবাজপুর গ্রামের কহিদুল ইসলাম ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের একমাসের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে রুল জারি করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিয়ে সংশ্লিষ্ঠরা দীর্ঘ একবছর নিষ্ক্রিয় থাকেন। রিটকারী কহিদুল ইসলাম সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে পুনরায় উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি তা নিষ্পত্তি হয় ।
এদিকে উচ্চ আদালতের আদেশের নির্দেশনা অনুযায়ী একমাসের মধ্যে রুলের জবাব না দিয়ে দীর্ঘ এক বছর নিষ্ক্রিয় থাকা কেন অবৈধ হবেনা মর্মে অভিযোগ এনে দাতা সদস্য কহিদুল ইসলামের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার এবিএম গোলাম মোস্তফা তাজ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর কার্যালয়, যশোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শাহাবাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা যথাযথ অনুসরণ না করা কেন আদালত অবমাননার শামিল হবেনা তার জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার এবিএম গোলাম মোস্তফা তাজ বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই বিবাদীরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনার জবাব দিতে একবছর নিষ্ক্রিয় থাকায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এজন্য বিষয়টি কেন বেআইনি নয়, মর্মে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। এর যথাযথ জবাব না দিলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।