মেধাবী সহিবা’র চোখের আলো নিভে যাবে!
সহযোগিতার জন্য আঁচল পেতেছেন মা
নিজম্ব প্রতিবেদক
দৃষ্টিশক্তি নিভে যেতে বসেছে মেধাবী ছাত্রী শেখ লোমাত সহিবার। লোমাত সহিবা যশোর সরকারি এমএম কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। মেধাবী এই মেয়েটি চোখের ‘রেটিনা ডিটাচমেন্টে’ আক্রান্ত। ইতোমধ্যে তার অপারেশনও হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা সম্পন্ন হয়নি। চিকিৎসা শেষ করতে আরও অন্তত চার লাখ টাকা দরকার। কিন্তু এই অর্থ জোগাড়ের সামর্থ্য নেই অসুস্থ শয্যাশায়ী বাবার। মা তাই আঁচল পেতেছেন সমাজের বিত্তবানদের কাছে।
শেখ লোমাত সহিবা যশোর নিউমার্কেট বি ব্লক এলাকার পিতা শেখ দিলদার হোসেন ও মাতা মেরী হুদার মেয়ে।
মা মেরী হুদা জানান, পড়াশোনায় খুব মনোযোগী লোমাত সহিবা সবসময় হাসিখুশি থাকত। চোখে সমস্যা দেখা দেয়ায় দেড় বছর আগে তাকে চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। সে সময় তার বাম চোখে ‘রেটিনা ডিটাচমেন্ট’ ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা দ্রুত অপারেশনের জন্য বলেন। দ্রুত তাকে ভারতে নিয়ে অপারেশন করা হয়। চিকিৎসায় তার প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়।
চিকিৎসকরা তখন জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার চোখে সিলিকন অয়েল দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এই অয়েল অপসারণ করতে হবে। কিন্তু এরই মধ্যে করোনাকাল শুরু হওয়ায় এবং অর্থাভাবে সিলিকন অয়েল অপসারণে বিলম্ব হয়ে যায়। গত ডিসেম্বরে দেশেই সেই সিলিকন অয়েল অপসারণ করা হয়। কিন্তু সেটি পুরোপুরি অপসারণ হয়নি। অন্যদিকে, বাম চোখে সমস্যা নিয়েও লোমাত সহিবা পড়াশোনা করে যাওয়ায় তার ডান চোখে পড়ে বাড়তি চাপ। এতে ডান চোখের রেটিনায়ও ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
মা মেরী হুদা আরও জানান, মেধাবী মেয়েটি বর্তমানে সারাদিন ঘরে মধ্যে দিনযাপন করছে। দ্রুত তার চিকিৎসা সম্পন্ন করা দরকার। তা না হলে মেয়েটি চিরতরে দৃষ্টিহীন হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু এজন্য অন্তত চার লাখ টাকা দরকার। লোমাতের অসুস্থ পিতার পক্ষে এই টাকা জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই মেধাবী মেয়েটির চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে সমাজের হৃদয়বান বিত্তশালীদের প্রতি আঁচল পেতেছেন মা মেরী হুদা।
সাহায্য পাঠাতে পারেন : মেরী হুদা, হিসাব নম্বর : ২৩২৩৪০১০০৬১৮৯, সোনালী ব্যাংক, যশোর শিক্ষাবোর্ড শাখা। অথবা বিকাশ করতে পারেন এই নম্বরে (০১৯১৭৬১০৩৪৮)।