কপোতাক্ষ অনলাইন ডেস্ক
গত বছর ২১ মে তান্ডব চালানো সুপার সাইক্লোন আম্ফানের এক বছরের মাথায় পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে আরেকটি সুপার সাইক্লোন সৃষ্টির আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘যশ’। নামটি ওমানের দেওয়া।
অব্যাহত তাপপ্রবাহে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা বঙ্গোপসাগরের পৃষ্ঠদেশে ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে সঞ্চারিত হচ্ছে ঘন মেঘমালা। আর এতেই সৃষ্টি হওয়া সুপার সাইক্লোন ভয়ঙ্কর শক্তি ধারণ করছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে আগামী বুধবারের মধ্যে আঘাত হানতে পারে সুন্দরবনসহ সন্নিহিত উপকূলভাগে।
স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণ করে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ২২ মে শনিবার ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হতে পারে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। আন্দামানের কাছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে রবিবার এটি নি¤œচাপে পরিণত হতে পারে। ধীরে ধীরে এই নি¤œচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ২৩ মে’র পরে নি¤œচাপ অক্ষরেখার গতিবিধি বুঝে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রাবল্য বা দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রথমে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অভিমুখ থাকলেও পরে এর অভিমুখ পরিবর্তন হতে পারে। এখন পর্যন্ত এর যে অভিমুখ, তাতে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা-সুন্দরবন উপকূল এলাকাতেই আঘাত হানার সম্ভাবনা প্রবল।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান জানান, আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া অফিস ধারণা করছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ থাকতে পারে সুন্দরবনের দিকে। তারপর অভিমুখ পরিবর্তন করে বাংলাদেশের দিকে যেতে পারে।
এদিকে বাতাস ও ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট উইন্ডি ডটকমের তথ্য বলছে, ২৩ মে দুপুরে বঙ্গোপসাগরে দৃশ্যমান হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। যা ধীরে ধীরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসবে। ২৬ মে দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের বালাসোর ও হলদিবাড়িতে আঘাত হানতে পারে। আর বিকাল থেকে রাতের মধ্যে বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, কুয়াকাটা, সুন্দরবন অংশে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য গতিপথ ধরা হয়েছে, বালাসোর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে।
ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, একসঙ্গে দুটি নি¤œচাপ ঘনীভূত হচ্ছে। একটি বঙ্গোপসাগরে, আরেকটি আরব সাগরে। দেশটির আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড়টি গত বছরের আম্ফানের মতো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। আছড়ে পড়তে পারে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে। তাই ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধির দিকে সতর্ক দৃষ্টি আবহাওয়াবিদদের।