ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা
কপোতাক্ষ অনলাইন ডেস্ক
টানা ১১ দিন বিমান হামলার পর মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র দল, গাজা, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে বিসিসির প্রতিবেদন বলা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরাইলের উপর ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। এছাড়া আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছেন।
ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়ে বলেছে, মিশরের প্রস্তাবে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত। এই যুদ্ধবিরতি হবে পারিস্পরিক ও নিঃশর্ত।
যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইল সামরিক অভিযান বন্ধ করে যুদ্ধবিরতিতে রাজি বলে মিসরকে জানায়। রাতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যুদ্ধবিরতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে। অর্থাৎ আজ শুক্রবার থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
ইসরায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা বিচার করে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবনার বিষয়ে জোর দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতারা।’
ইসরায়েলের দাবি, গত ১০ মে থেকে তারা গাজায় হামাসের বিভিন্ন স্থাপনা ও ভূগর্ভস্থ টানেল নেটওয়ার্ক টার্গেট করে শত শত বিমান হামলা চালায়। গাজা উপত্যকা থেকেও ইসরায়েলের আবাসিক এলাকার উদ্দেশে প্রায় চার হাজারের মতো রকেট ছোড়া হয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই আঘাত হানতে ব্যর্থ অথবা আগেই ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১১ দিনে ইসরাইলি বিমান হামলা ও হামাসের রকেট হামলায় অন্তত ৬৫ শিশু, ৩৬ নারীসহ ২৩২ জনের প্রাণ গেছে। হামাস অবশ্য তার যোদ্ধাদের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। আর ইসরাইলে দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে