দাবি আদায়ে হরিজনদের যশোর পৌরসভা ঘেরাও
প্রতিবেদক: যশোরে দাবি আদায়ে এবার পৌরসভা ঘেরাও করেছে হরিজনেরা। বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহে তাদের বাদ দেওয়ায় প্রতিবাদে বুধবার তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে পৌরসভা ঘেরাও করে। এ কর্মসূচি থেকে পরিচ্ছন্নতা কাজে অহরিজনদের নিয়োগ বাতিল করে ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনঃবহাল ও মৃত শ্রমিকদের আগের মতো ৩০ হাজার টাকা দেয়ারও দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মতিলাল হরিজন। ঘেরাও কর্মসূচি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিরণ লাল সরকার। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ যশোর জেলা শাখার সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মন্টু বিশ্বাস, সহ-সভাপতি কমল বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক হিরণ লাল সরকার, সাধন বিশ্বাস, দেবলিয়া হরিজন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা অবিলম্বে পচ্ছিন্নতা কাজে এনজিওদের অনুপ্রবেশ বন্ধসহ দ্রব্যমূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে মজুরি বৃদ্ধি, ছাটাইকৃত শ্রমিকদের পুণঃবহাল মৃত শ্রমিকদের ৩০ হাজার টাকা এবং শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুতে ১০ হাজার টাকা প্রদানের সম্পাদিত চুক্তিসহ শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান।
যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মতিলাল হরিজন জানিয়েছেন, হরিজনরা বাড়ি বাড়ি থেকে কিছু বকশিশের বিনিময়ে বর্জ্য সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্তু এডিবি প্রকল্পের অজুহাত দেখিয়ে গত বছর পৌরসভা বাড়ি বাড়ি থেকে এনজিওকে বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়। এ খবর পেয়ে হরিজনরা ময়লা অপসারণ বন্ধ করে দেয়। বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পৌরসভার নতুন মেয়র হায়দার গণি খান পলাশের সাথে আন্দোলনকারীরা দেখা করলে তিনি তিন মাসের সময় নেন।
শ্রমিক নেতা মতিলাল হরিজন আরো বলেন, তিন মাস পার হলেও তাদের দাবি বিষয়ে চুপ রয়েছে পৌরসভা। শোনা যাচ্ছে আগের এনজিওদের সাথে চুক্তি বাতিল করে পৌর কাউন্সিলরদের তত্ত¡াবধানে নতুন করে অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করতে যাচ্ছে। এতে পেশা সংকটে পড়তে যাচ্ছে হরিজনরা। শুধু তাই নয়; আগে মৃত শ্রমিকদের ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হতো। সেটা কমিয়ে ২০ হাজার দেয়া হচ্ছে। এজন্য তারা দাবি আদায়ে ফের রাজপথে নেমেছেন।