গুটিতে ভরে গেছে আম গাছ
দিলরুবা খাতুন, মেহেরপুর :
স্বাদের জন্য বিখ্যাত মুজিবনগর আম্রকাননসহ জেলার আম বাগানগুলোতে আমের গুটিতে ভরে গেছে। বেড়েছে আম চাষিদের ব্যস্ততা। আমের গুটি যাতে না ঝরে পড়ে এজন্য নিয়মিত ওষুধ স্প্রেসহ বাগানগুলোসে রাতের বেলা সেচ দিয়ে ঠান্ডা করা হচ্ছে। এটি মেহেরপুরের মুজিবনগর আম্রকাননসহ জেলার আম বাগানগুলোর সাধারণ দৃশ্য।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার আবহাওয়াজনিত কারণে একটু দেরিতে আমের মুকুল এসেছে। আমের গুটিতে ভরেও গেছে আমগাছ। এখনই আমের গুটির ভারে নুইয়ে পড়তে শুরু করেছে ডাল। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও আম চাষি।
কৃষি বিভাগ আরো জানায়, স্বাদের দিক থেকে মেহেরপুরের আম জগত জুড়ে সুখ্যাতি আছে। এখানকার আম সুস্বাদু হওয়ায় ইউরোপ মহাদেশেও তার সুখ্যাতি ছড়িয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমের বাগানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেহেরপুরের মুজিবনগরে বৃটিশ শাসনামলে তৈরী মুজিবনগর আ¤্রকাননে ১২শ’ আমগাছ আছে। ওই বাগানে ১২শ’ আমগাছ ১২শ’ জাতের। জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সব জাতের আমেরই চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর কৃষিজমিতে তৈরী করা হচ্ছে আমের বাগান।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের আমচাষী জাহিদুল হাসান জানান, এবার আমগাছে একটু দেরিতে মুকুল এসেছে এবং গাছে গুটিতে ভরে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাগানে আমের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বাগানে নিয়মিত যত্ন নিলে অফ ইয়ার বলে কিছু থাকে না। প্রতি বছরই গাছে আম আসবে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ জানান, মূলত তিনটি পর্যায়ে আমের মুকুল আসে। জেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। এখানকার মাটির গুণেই হিমসাগর, লেংড়া, বোম্বাই, তিলি বোম্বাই ইত্যাদি জাতের আম খুবই সুস্বাদু। বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, আশ্বিনা জাতের বাগান বেশি থাকলেও গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন বাগানগুলো তৈরী হচ্ছে বনেদি ও হাইব্রিট জাতের।