জন্মদিনে স্মরণঃ ওস্তাদ আল্লারাখা
বাবলু ভট্টাচার্য :
সকলের কাছে তিনি আব্বাজী। কিন্তু পৃথিবীর মানুষ তাঁকে চেনে ‘আল্লারাখা’ নামে। পুরো নাম আল্লারাখা কুরেশি খান।
মূলত পঞ্জাব ঘরানার শিল্পী অভারতীয় শ্রোতার কাছে তবলাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে তাঁর তবলার যুগলবন্দি পৃথিবী বিখ্যাত।
১২ বছর বয়সে তবলার প্রশিক্ষণের জন্য বাড়ি ছেড়ে যান আল্লারাখা। ১৯৩৬ সালে লাহোরের অল ইন্ডিয়া রেডিওয় যোগদান করেন। ১৯৩৮ সালে বদলি হয়ে মুম্বাই শহরে যান। কয়েকবছর রেডিওয় কাটানোর পর ১৯৪৩ সাল থেকে চলচ্চিত্রে এ আর কুরেশি নামে সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকায় কাজ শুরু করেন।
এরপর ১৯৫৮ সাল থেকে ছবিতে মিউজিকের কাজ কমিয়ে দিয়ে পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে সারা বিশ্বে অনুষ্ঠান করতে শুরু করেন আল্লারাখা। বিশ্বের দরবারে ভারতীয় ধ্রুপদি সঙ্গীতের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
১৯৭৭ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হন ওস্তাদজি। ১৯৮২ সালে আসে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি সম্মান। ১৯৮৫ সালে মুম্বাইতে শুরু করেন আল্লারাখা ইন্সটিটিউট অফ মিউজিক।
তাঁর তিন ছেলে জাকির হুসেন, ফজল কুরেশি ও তওফিক কুরেশি—সকলেই বিখ্যাত তবলাবাদক।
৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ মুম্বইতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আল্লারাখার।
ওস্তাদ আল্লারাখা ১৯১৫ সালের আজকের দিনে (২৯ এপ্রিল) পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার রতনগড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
লেখক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব